চাকরীর পিছনে না ঘুরে নিজেই উদ্যোক্তা হয়ে বরং অন্য আরো কয়েকজনকে চাকরীর সুযোগ করে দিয়েছেন তরুন উদ্যোক্তা আরিফ মোল্রা।প্রথমে ১৬টি গরু নিয়ে তার ব্যবসা শুরু করলেও তার খামারে এখন রয়েছে ৭০টি মোটাতাজা গরু।যা আগামী কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।এক লাখ বিশ হাজার থেকে শুরু করে সাড়ে ৩ লাখ টাকার গরু রয়েছে তার খামারে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের আরিফ মোল্লা।চাকরীর জন্য না ঘুরে একজন সফল উদ্যোক্তায় পরিনত হয়েছেন।এজন্য তার পিতা সহ পরিবারের সবার ছিল সম্পূর্ন সহযোগিতা।পারিবারিক জায়গায় গড়ে তুলেছেন অনেক বড় একটি গরুর খামার। সেখানে সম্পূর্ন প্রকৃতিক উপায়ে তিনি ৭০টি গরুর পরিচর্যা করছেন।করছেন মোটাতাজা।যা আগামী কোরবানীর জন্য প্রস্তত করা হয়েছে।এক লাখ ২০হাজার থেকে সাড়ে ৩লাখ টাকার গরু রয়েছে তার খামারে।এখনি অনেকেই গরু দেখতে তার খামারে আসছেন।
গরুর খামারে কাজ করছেন ৪ জন শ্রমিক।তারা এখানে চাকরী করে নিজেদের সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন।তারা জানান, এই খামারের গরু মোটাতাজা করনে সবুজ ঘাস,খড়,কুড়া ও ভাত বা ভাতের মাড় ছাড়া অন্য কোন স্টোরয়েড ব্যবহার করা হয়না।
চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের আঃ রব মোল্রা জানান, গ্রামেই বড় একটি গরুর খামার রয়েছে।এখান থেকে পছন্দ করে একটি গরু কিনতে চাই।প্রাকৃতিক নিয়মে এখানকার গরু মোটাতাজা করছে তাই এখানকার একটি গরু কোরবানীর জন্য কিনতে চাই।

খামারীর পিতা হাবিবুর রহমান জানান, আমার সন্তান নিজেই যাতে একজন সফল ব্যবসায়ী হতে পারে, লোকজন যেন বলতে পারে আরিফের একটা বড় খামার আছে-এ কারনে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
খামারী ও সফল উদ্যোক্তা আরিফ মোল্লা জানান, ছোটবেলা থেকেই আমি একজন ব্যবসায়ী হতে চেয়েছিলাম।পরিবারের সহযোগিতায় ১৬টি গরু থেকে এখন আমার খামারে ৭০টি ছোট-বড় গরু রয়েছে। চাকরীর পিছনে না ঘুরে আমি এখন অন্যদের চাকরী দেই।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোবিন্দ চন্দ্র সরদার, জেলায় এবছর যারা পশু মোটাতাজা করছেন তার মধ্যে আরিফের খামার সব থেকে বড়।সেখানে প্রাকৃতিক উপায়েই গরু মোটাতাজা করার কাজ করা হয়েছে।আগামী কোরবানীর জন্য জেলায় ৩৬ হাজার পশুর চাহিদার বিপরীতে প্রায় ৪০ হাজার গরু প্রস্তুত করা হয়েছে।কোরবানির জন্য জেলার ৫ উপজেলায় ১৯ হাজার ২৭৬টি ষাঁড়, ১১০টি বলদ, ৫ হাজার ৬৪৪টি গাভী, ১৬টি মহিষ, ১৪ হাজার ৬১৪ টি ছাগল, ৮২টি ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, খড়, গম ও ডালের ভূষি, ঘাস, খৈইল, কুড়া খাইয়ে এসব পশু মোটা-তাজা করা হয়েছে। আমাদের পরামর্শে তারা মানুষের দেহের জন্য নিরাপদ মাংস প্রস্তুত করেছে। এখন এইসব পশু নিরাপদে বাজারজাত করণের জন্য আমরা তাদের পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যেই খামার থেকে গবাদি পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।
জেলার ৫ উপজেলার ১৫ টি স্থানে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসছে।এরমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩টি, মুকসুদপুরে ৪টি, কাশিয়ানীতে ৩টি, কোটালীপাড়ায় ৪টি ও টুঙ্গিপাড়ায় ১টি পশুরহাট বসছে । এসব হাট তদারকির জন্য ইতিমধ্যে ১৫ টি মেডিকেল টিমি গঠন করা হয়েছে।মেডিকেল টিম গুলো পশুরহাটে সার্বক্ষণিক সেবা দেবে। জাল টাকা লেনদেন বন্ধ ও ছিনতাইকারীদের হাত থেকে গবাদি পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুরক্ষায় গোপালগঞ্জের পশুর হাটগুলোতে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।