যুগকথা রিপোর্ট :
সারা দেশে দেখা দিয়েছে করোনার প্রাদূর্ভাব। ঘর থকে কেউ বাইরে বের হতে পারছেন না। আর এই মধ্যে পালিত হচ্ছে ঈদ-উল ফিতর। ঈদে ছোট বা বড় কাউকে শুভেচ্ছা না জানালে হয় কি করে? এতে ঈদ আনন্দে কিছুটা হলেও ভাটা পরে।
কিন্তু করোনার কারনে কারো সাথে দেখা বা ঘুরতে না পড়লেও সবাইকে ঈদ শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বেছে নেয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক, টুইটার, ইমোসহ বাদ যায়নি কোন মাধ্যমই।
ফেসবুক, ইমো, টুইটার বা হটস অ্যাপ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ম্যাসেঞ্জার বা পোষ্টে বিভিন্ন ধরনের ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে ছবি জুড়ে দিয়ে পরিবারের সদস্য, পরিচিত বন্ধু, বান্ধবী বা ফেসবুক বন্ধুদের দেয়া হচ্ছে ঈদের শুভেচ্ছা। অনেকেই আবার ভিডিও কলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি পারিবারিক খোঁজ খবর নেন।
অনেকেই বলেছেন, এতে একদিকে যেমন ঈদের শুভেচ্ছা ও পরিবারের খোঁজ খবর নেয়া যাচ্ছে তেমনি সামজিক দূরত্ব বজায় রাখায় করোনার প্রাদূর্ভার ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে।
ফেসবুকে নির্জন মুন্না লেখেন, দুই মাস মানবতার সেবায় নিয়োজিত সোনার ছেলেগুলো। ধান কাটা থেকে শুরু করে সবজি-ইফতার-ত্রাণ বিতরণসহ মানবিক সেবার বিরতিহীন সেইসব যোদ্ধা গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগ পরিবারের প্রাণের অনুজদের একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ওদের জন্য ভালবাসার স্পেশাল “ইদ মোবারক”।
ফেসবুকে রাইয়ানা পারভীন লেখেন, আলহামদুল্লিলাহ্ পরিবারে সবার সাথে অসুস্থ পৃথিবীতে সুস্থ শরীরে ঈদ করতে পারছি এর চেয়ে বড় আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। সবাইকে ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা। “ঈদ মোবারক”।
ফেসবুকে জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ লেখেন, ঈদ মোবারক। দেশ ও দেশের বাইরের সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সকলের ঈদ আনন্দ হোক নিরাপদ। সকলে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সর্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ সকলকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদ পালনের আহবান জানিয়ে বলেন, মসজিদে নামাজ পড়ার ক্ষেতেও আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পেরেছি। অনেকই বাইরে বের না হয়ে সকলকে শুভচ্ছে জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধম্যকে বেছে নিয়েছে। এতে কিছুটা হলেও কনোরারোধ করা যাচ্ছে। কিন্তু টাকা বা অন্য জেলা থেকে গোপালগঞ্জে আসা যাওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। যার ফলে করোনা আতংক কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।