30 C
Gopālganj
শনিবার, জুন ২৮, ২০২৫

পাঁচ কারণে বিএনপি এখনও আশাবাদী

BNP is still hopeful for five reasons

নির্বাচিত সংবাদ

- Advertisement -

বিএনপি আগামীকাল থেকে অবরোধ এবং হরতালের এক ককটেল কর্মসূচি পালন করবে। প্রথমদিন অবরোধ, দ্বিতীয় দিন হরতাল কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অবরোধ এমনিতেই ভেঙে পড়েছে। বিরোধী দলগুলো যে হরতাল ডেকেছিল, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর সেই হরতালও অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরও বিএনপি আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহে ৪ দিন তারা অবরোধ-হরতালের মতো কর্মসূচি গুলো দিচ্ছে।

বিএনপির নেতারাই বলছেন যে, এ ধরনের কর্মসূচি অকার্যকর এবং এ ধরনের কর্মসূচি অর্থহীন। কিন্তু বিএনপির অনেকেই মনে করছেন যে, এই ধরনের কর্মসূচি রাজপথে গুরুত্ব না রাখতে পারলেও আস্তে আস্তে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কর্মসূচিগুলো ইতোমধ্যে জনগণের মধ্যে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। বিএনপি মনে করছে যে, শেষ পর্যন্ত সরকার চাপে পড়বে এবং নির্বাচন নিয়ে একটা গভীর সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত হবে।

পাঁচ কারণে বিএনপি এখনও আশাবাদী। আর এ কারণেই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে। যে পাঁচটি কারণে তারা আশাবাদী তার মধ্যে রয়েছে-

১. নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না: বিএনপি মনে করছেন যে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তাদের পুরো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তারা মনে করছেন যে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের নির্বাচনে পরিণত হবে। যার ফলে এই নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন শেষ পর্যন্ত সরকার করতে পারবে না। আর এ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন যখন হবে না তখনই সরকার বড় ধরনের চাপে পড়বে।

২. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল: নির্বাচনকে ঘরে বাইরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, মনিটরিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই নির্বাচন আতশি কাঁচের নিচে নিরীক্ষিত হচ্ছে। কাজেই সরকার যদি কোন রকম কারচুপির আশ্রয় নেয় যেটি অবধারিতভাবে হবে বলে বিএনপি নেতারা মনে করছেন তাহলে সরকার বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়বে এবং তখন তাদের জন্য অনড় অবস্থানে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তিন।

৩. অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ। সরকার রাজনীতির দিকে অতি মনোনিবেশ করার কারণে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে উঠছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। সামনের দিনগুলোতে তা আরও কমবে। সরকার এলসি খুলতে পারছে না। ডলারের বাজারে অস্থিরতা, খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। আর্থিক খাত বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে সরকার যতই নির্বাচন করুক বা নির্বাচন করে যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে সেটি দীর্ঘস্থায়ী হবে না। কারণ অর্থনৈতিক সংকট শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

৪. মানবাধিকার ইস্যু: বিরোধী দল বিএনপি মনে করছে যে, দেশের মানবাধিকার ইস্যু এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সরকার যে বিরোধী দলের ওপর দমন নিপীড়ন করছে, সেটি এখন একটি মানবাধিকারের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাংলাদেশের বাড়বে। বিরোধী দলের ওপর দমন পীড়নের বিষয়টি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত হবে। যেটি সরকারের সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

৫. বিএনপি ভাঙতে না পারা: সরকার বিএনপিকে ভাঙতে চেয়েছিল এমন দাবি করে দলটির অনেকে। এমনকি তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম থেকে অনেক টোপ দেওয়া হয়েছিল বিএনপি নেতাদের কিন্তু দলের গুরুত্বপূর্ণ কোন নেতাই শেষ পর্যন্ত টোপ গেলেননি। আর এই কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, শেষ পর্যন্ত বিএনপি না ভাঙার কারণে শক্তিশালী একটি বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরেই থাকবে। এর ফলে সরকারের যে পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে।

- Advertisement -

আরও খবর plus!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -

সর্বশেষ খবর

Translate »