যুগকথা রিপোর্ট :
করোনা পরিস্থিতির কারনে গোপালগঞ্জে এবারের ঈদের জামাত ঈদগাহে অনুষ্ঠিত না হয়ে মসজিদে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি ৫টি করনীয় মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সতর্ক করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, প্রতি বছর গোপালগঞ্জে শহরের পাচুড়িয়া এলাকায় পৌর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ঈদগাহের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য গত বছর থেকে শেখ ফজলুল হক মনি ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
এ বছর জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া করোনা প্রতিরোধে ঈদগাহ ময়দানের পরিবর্তে জেলার সকল মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাত আয়োজন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সকাল ৮টায় একযোগে জেলার সকল মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ও সকাল ৯টায় তৃতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজন সাপেক্ষে আধা ঘন্টা পরপর আরো কয়েকটি জামাত করা যাবে।
এছাড়া ঈদের জামাত আয়োজন ও নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে মসজিদ কমিটি ও মুসুল্লীদের নির্দেশনা মানার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো, ঈদের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না, নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশকদ্বারা পরিস্কার করতে হবে।
প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে। কেউ নামাজের পূর্বে ওযু করতে চাইলে তার জন্য ওযুর স্থানে সাবান ও স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসুল্লীকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে থাকা জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
এছাড়া আরো বলা হয়েছে, শিশু, বয়স্ক লোক ও যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের জামাতে যাতে অংশগ্রহন করতে না পারে সে বিষয়ে মসজিদ কমিটিকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমনরোধে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে জেলায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জেলার কোথাও ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। এ বিষয়ে জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।