যুগকথা রিপোর্ট :
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোপালগঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী নির্মিত করোনা সুরক্ষা টানেল উদ্বোধন করেছেন যশোর সেনানিবাসের ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেলারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের লঞ্চঘাটে যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ১১৭ ফিল্ড ওয়ার্কশপ কোম্পানী ইএমই নির্মিত করোনা জীবানু মুক্তকরণ টানেল উদ্বোধন করেন।
এসময় গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, লে. কর্নেল শুভ ইসলাম, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাদিকুর রহমান খান, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান নীতিশ রায়, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক এস.এম নজরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু বলেন, এটি সেনাবাহিনীর একটি মহতী উদ্যোগ। এই টানেলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে সাধারন পথচারীরা জীবানুমুক্ত হতে পারবেন।এছাড়া তাদের ব্যবহৃত গাড়িও জীবানুমুক্ত করে নিতে পারবেন। এ জন্য আমি সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেছেন, এই টানেলের মাধ্যমে মানুষ সচেতন হবেন এবং জেলাবাসী উপকৃত হবেন।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, গোপালগঞ্জবাসীকে সুরক্ষা ও জীবানুমুক্ত রাখতে সেনাবাহিনী কর্তৃক স্থাপিত টানেল বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এখানে দুইটি টানেল স্থাপন করা হয়েছে। একটি টানেল দিয়ে মানুষ আর অপর টানেলটি দিয়ে গাড়ি জীবানুমুক্ত করতে পারবেন। এ টানেল মানুষের উপকারে আসবে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে আমরা জীবনুনাশক স্প্রে, হাত ধোয়া, সামাজিক ও ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে কাজ করেছি। গোপালগঞ্জ শহরের প্রান কেন্দ্র লঞ্চঘাটে সেনাবাহিনী যে জীবানু নাশক টানেল স্থাপন করেছেন, এর মাধ্যমে আমরা যারা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরের বের হচ্ছি তারা নিজেকে ও ব্যবহৃত গাড়ি জীবানুমুক্ত করতে পারছি। এতে আমরা নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে পারবো।
যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ১০৫ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেলারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল বলেছেন, গোপালগঞ্জ জেলা শহরকে আমরা করোনা জীবানুমুক্ত করতে দু’টি টানেল স্থাপন করেছি। একটি টানেলের মধ্য দিয়ে পথচারী ও অন্যটির মধ্যদিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। টানেলের মধ্যদিয়ে যাবার সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবানুনাশক ডিটারজেন্ট দিয়ে স্প্রে হয়ে জীবানুমুক্ত হয়ে বাহির হবে। এতে এ জেলার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি হবে। করোনা মোকাবেলায় টানেলটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।